আওয়ামী লীগের আমলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।


 যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ৫নং হরিদাস কাটি ইউনিয়নের পাঁচ কাটিয়া গ্ৰামে মৃত মাহিন্দ মল্লিক ছেলে প্রদীপ মল্লিক অদৃশ্য খুঁটি জোরে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা ।


 ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে সৈরাচারী দল আ"লীগের নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্র থেকে মফস্বল পর্যায়ের ছোট বড় প্রায়ই নেতারা গা ঢাকা দিয়েছে।আবার সেনাবাহিনী,ডিবি পুলিশ,কালো পোশাকধারী র‍্যাব ও বিভিন্ন থানা পুলিশের হাতেও ধরা পড়েছে বড় নেতা থেকে মফস্বলের অনেক পাতি নেতারা। তবে যারা গ্রেফতার হয়েছে বা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা প্রত্যেকেই আ'লীগের শাসনামলের কোন না কোন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত এবং বিভিন্ন মামলায় জড়িত। 


এমনই এক একজন যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার,

৫নং হরিদাস কাটি ইউনিয়নের পাঁচ কাটিয়া গ্রামের মৃত মাহিন্দ মল্লিক ছেলে প্রদীপ মল্লিক।


আ"লীগ সরকারের প্রশ্নবিদ্ধ সকল নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট কাটা, ভোটারকে কেন্দ্রে আসতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতো এলাকা ঘুরে ঘুরে এই আওয়ামী পন্থী ক্যাডার। তার পেশাগতভাবে কোন নির্দিষ্ট কাজের কথা কেউ বলতে পারেনা। 


প্রদীপ নিজ গ্রাম পাঁচ কাটিয়া ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন যেমন দূর্বাডাংঙ্গা, শ্যামকুড়, খানপুর,নেহালপুর,মনোহরপুর ও কুলটিয়া ইউনিয়ন জুড়ে চালিয়েছে আদম ব্যাবসা থেকে শুরু করে প্রতারনা, ধোকাবাজি, জমি দেওয়ার প্রলোভনে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া,অন্যের সম্পত্তি জবরদখল করা এ ছিলো যেন প্রদীপ নিত্য নৈমেত্তিক কাজ কখনো সে ব্যবসায়ী কখনো সে চাকরিজীবী এক এক সময় একা পরিচয়ে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা । প্রদীপ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ এক মৃত বিবেক বিশ্বাস এর ছেলে ভক্তি বিশ্বাস জানান,


 আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ২ একশত ৭৪ শতাংশ জমি বিলবোকড়ো ঐ জমির বর্গা নিতে গেলে ইটভাটার মালিক শ্যামল সরকার আমাকে বলে আপনার জমিতো বিক্রি করে দিয়েছেন তাহলে আবার কেন আসছেন বর্গা নিতে তখনই তার সঙ্গে আমি বারবি ডল্ডে জড়াই এক পর্যায়ে তিনি আমাকে বলেন আপনার জমির কাগজপত্র ঠিক করে নিয়ে আসেন তারপরে আমার সঙ্গে কথা বলেন। তারই কথামতো তৎক্ষণিকভাবে আমি ছুটে চলে যাই নেহালপুর ভূমি অফিসে মেহেরপুর ভূমি অফিসে থেকে একই কথা বলে নায়েব সাহেব সে কথা শোনার পর হতাশাগ্রস্ত অবস্থায়।

আমি বাড়ি পৌঁছে আমার প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করি ও যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করি। মামলাটি বর্তমানে চলমান।এই প্রদীপ মল্লিক নিজেকে ভক্তি বিশ্বাস বলে অন্যর কাছে ১৭লক্ষ টাকা নিয়ে জাল দলিল করে দিয়েছে আমাকে পথে বসিয়েছে।তার অনুরোধে অনুসন্ধানে গেলে এলাকাটা মূহুর্তের মধ্য স্থানীয় কয়েকজনের অভিযোগ পাওয়া যায়।অজানা অনেক কিছুই সামনে আসতে থাকে "অলরাউন্ডার" প্রদীপ মল্লিক বিরুদ্ধে। 


সরেজমিনে একাধিক ব্যাক্তি জানান, প্রদীপ মল্লিক আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।

জানা যায় তিনি আওয়ামী নেতাদের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরি করে, যার কারনে একের পর এক কান্ড ঘটালেও কেউ কোন অভিযোগ করতে পারতোনা,মুখ খুলতো না তার বিরুদ্ধে। দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এই প্রদীপ এর বিরুদ্ধে স্থানীয় সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরেও আছে অনেক অভিযোগ।জেলা উপজেলা ও

এলাকাবাসি ভুক্তভোগীদের দাবী, এই প্রদীপ মল্লিক যেন গোপনে আবার কোন অসহায় ব্যাক্তিকে সম্বল হারা না করে,আর কারো কাছ থেকে যেন জমি প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ না নিতে পারে, এর জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

Post a Comment

0 Comments